১. আমার ভেতরের আমিটা প্রকৃতপক্ষে কে, কিংবা আমার ভেতরে আসলে কী লুকিয়ে আছে, যা বেরিয়ে আসতে চায়, তা আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না বলে, আমরা অন্য কারও প্রতি খুব দ্রুত প্রশ্ন ছুড়ে দিই, ‘তুই আমারে চিনোস?’ আহারে…যদি নিজেই নিজেকে চিনতাম, তাহলে এই প্রশ্ন আসার প্রশ্নই উঠত না! ২. আপনি যার সঙ্গেই প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক করুন না কেন, তার চেয়ে অনেক বড়ো ব্যাপার হচ্ছে, আপনার সন্তানের মা’টা আসলে কে! খেয়াল করলে দেখা যাবে, যেসব মা তেলাপোকা দেখলে ভয় পান, তাঁদের সন্তানদের ভেতরেও ঠিক একই রকমের ভীতি দেখা যায়। ভালো করে লক্ষ করুন, এই উদাহরণটাকে খুব ছোট্ট আর সাধারণ মনে হলেও আদতে এটাই সব কিছু বলে দেয়। ৩. ‘জ্ঞান’ তার জন্যই, যার ধারণক্ষমতা আছে। আপনি কোনও কিছু জানার জন্য প্রস্তুত না থাকলে আপনাকে সেটা জানানো হবেও না, কিংবা বলতে পারেন, ছোট্ট কোনও ব্যাপার আপনার সামনে বা আশেপাশেই ঘটবে, কিন্তু আপনি সেটা বুঝতেই পারবেন না! ৪. আপনি যদি বিশেষ কোনও ব্যাপারে কিছু জেনে থাকেন নিজের প্রচেষ্টা অথবা উপরওয়ালাপ্রদত্ত কোনও উপায়ে, আর এই ব্যাপারটা যে সত্য, সেটাও আপনি জানেন, তার পরেও আপনি যদি আপনার সেই জানাটা মানুষের সঙ্গে শেয়ার না করেন, তাহলে ওই জানার আসলে তেমন কোনও সার্থকতা নেই। সেটা খুব ছোটো কোনও বিষয়ও হতে পারে। যে জ্ঞানীর জ্ঞান অন্যের কাজে লাগল না, সে জ্ঞানীও নয়, যথার্থ মানুষও নয়। ৫. মধ্যবিত্ত পরিবারের রাগ, অভিমান, দুঃখ, ভয়, ক্রাইসিস, এককথায় মোটামুটি সব রোগেরই উৎস হচ্ছে: মানুষ কী বলবে! ৬. কখনও কখনও, কিছু মানুষের উপর রূপের প্রভাব এতটাই বেশি হয়ে যায় যে, সেই প্রভাব আবার গিয়ে পড়ে মগজের উপর! আপনার আশেপাশে অনেক নারী-পুরুষকেই দেখবেন, যাঁরা মনে করেন, রূপকে পুঁজি করে তারা যা ইচ্ছা করতে পারবেন, দুনিয়ার যে-কোনও যুদ্ধ জিতে নিতে পারবেন! দু-একটা জায়গায় এঁরা জিতে যান ঠিকই, কিন্তু দুনিয়া এত কঠিন একটা জায়গা যে রূপের মতন ঠুনকো একটা ব্যাপার জীবনযুদ্ধে নিজেকে সম্মোহিত করে রাখা ছাড়া আর কোনও কাজেই আসে না।