এক নিঃশব্দ প্রতিচার



: এত কী ভাবছেন?
তাকে যেতে দিন। কোনো সহানুভূতি দেখানোর আদৌ কি প্রয়োজন আছে?
আপনার অবস্থান থেকে তাকে বিচার করুন। সে কখনোই পারবে না—আপনার সুখকর অনুভূতিতে পূর্ণতা এনে দিতে।
ফিরে যেতে দিন তাকে। কী এত ভাবছেন?
তার ভালোবাসা না পেলেও, আপনার কিছুই এসে যাবে না।
গভীরভাবে উপলব্ধি করুন, নিজের সর্বোচ্চ চেতনার সান্নিধ্যে সিদ্ধান্ত নিন।
কেন ভালোবাসার মায়ায় নিজেকে আটকে রাখতে চাইছেন?

ইচ্ছার খেয়ালে সমর্পণ হওয়া আপনাকে মানায় না।
আমি নিশ্চিত—কারণ আমি আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
আপনার এই অনুভবের প্রকাশ, এমনকি আপনার চৈতন্যের স্বরূপকেও ভুল প্রমাণ করতে পারে।
তাকে পেছনে ফিরে ডাকতে চাইছেন কেন?
কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন যে, সে আপনাকে ভালোবেসে তার সমগ্র সত্তাজুড়ে আপনার স্পর্শ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে?

: আমার অন্তর্দৃষ্টি নির্ভুল। নিঃসন্দেহে সে আমার অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে।
ধীরে ধীরে সে রূপ নিচ্ছে অসাধারণ ক্ষমতাধর এক অনুভূতির পালাবদলে—যা পর্যায়ক্রমে গেঁথে যাচ্ছে আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্তরে।
আপনি সন্দিহান হবেন না—আমার হৃদয়জুড়ে তার অস্তিত্বের আলোড়নে মুগ্ধ হয়ে উঠছে আমার সর্বাঙ্গীন অনুভূতি।
এর নীরব সাক্ষী কেবল আপনি—আপনার নিকটেই তা একীভূত হয়ে উঠছে।

: তার হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি আপনি কীভাবে নিজের প্রাণে স্থাপন করলেন?
জানতে ব্যাকুল আপনার আত্মচৈতন্য।
তবে কেন তার মনে প্রত্যাশার অযাচিত ভার চাপিয়ে দিচ্ছেন?

: প্রত্যাশা বাড়ানোর জন্য নয়—আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসি।
এই গভীর অনুভব তার অশ্রুজলেই প্রকাশিত। তাই, জানিয়ে দেওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করেছি।
এই প্রাণের তৎপরতা থেমে থাকে না কারও জন্য। তবে বাস্তবতা এটাই—এই জীবনে যদি কেউ আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসে, আর আপনি ভুলক্রমে তাকে পেছনে ফেলে দেন, সে আর কখনও আপনার ভালোবাসাকে জাগ্রত করতে পারবে না। তখন কেবলই ব্যথিত হবে অচেনা কারও আঘাতে।

: আপনার অন্তর্দৃষ্টি যথার্থ।
আমিই তো আপনার অস্তিত্বের সাক্ষী। ভালো-মন্দের বিচার আমার কাজ নয়।
আপনি যেভাবে নিজেকে জীবনের স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাবেন, আমি কেবল তা উপভোগ করব। এর বেশি উপলব্ধি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

: নিশ্চয়ই!
অদৃষ্টের রহস্যময় পরিহাসে আমার অস্তিত্বজুড়ে তার প্রতিচ্ছবি আঁকা।
তাকে অস্বীকার করার ধৃষ্টতা নেই আমার প্রণয়ের অনুভব থেকে।
Content Protection by DMCA.com